মূর্তি পূজারীদের দোষী করতে গিয়ে, মাংস খাওয়া নিয়ে আর্য্য সমাজ স্ব দোষে দূষিত হলেন

শেয়ার করুন

 

পাঠক বৃন্দ…

সনাতন ধর্মের দর্শন সবচেয়ে প্রাচীন দর্শন। যেখানে সাকার-নিরাকার, মূর্তি-অমূর্তি উভয়কেই স্বীকৃতি দিয়েছে।‌ যা আমরা শাস্ত্র গ্রন্ত্রাদি থেকেই অনুধাবন করতে পারি।

অনার্য কর্তৃক মূর্তি পূজা খণ্ডন নামক সিরিজের অপদাবীর নিরসন

শ্রীমদ্ভগবদগীতা অনুযায়ী মূর্তিপূজার প্রমাণ ও অপপ্রচারকারীদের আক্ষেপ খণ্ডণ

 

সনাতন ধর্মের সকল ব্যক্তি বর্গরা মূর্তি পূজাকে স্বীকার করলেও একটি বিশেষ সংগঠন বিধর্মীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে মূর্তি পূজার বিরুদ্ধে খণ্ডন করেছেন। ইতি মধ্যে আপনাদের স্মরণে এসেছে সেটা আর কেহ নন। তিনি হচ্ছেন দয়ানন্দ স্বামী

দয়ানন্দ স্বামী সত্যার্থ প্রকাশে মূর্তি পূজার খণ্ডন করতে গিয়ে। তার সত্যার্থ প্রকাশের একাদশ সমুল্লাসে উল্লেখ করেছেন

পঞ্চমতঃ- বিবিধ প্রকারের বিরুদ্ধ স্বরূপ, নাম ও চরিত্র বিশিষ্ট মূর্তিসমূহের কারণে পূজারীদিগের মতের ঐক্য নষ্ট হয়। ফলে তাহারা বিরুদ্ধ মতে চলে এবং পরস্পরের মধ্যে ভেদবৃদ্ধি সৃষ্টি করিয়া দেশের সর্বনাশ করে।

তিনি বলতে চেয়েছেন যারা মূর্তি পূজা করেন । অর্থাৎ মূর্তি পূজারীদের মধ্যে বিভেদ, ভেদবৃদ্ধি সৃষ্টি হয়। একতা এবং ঐক্য নেই।

 

কিন্তু আমরা দেখবো তাঁরা মূর্তি পূজা না করেই। তাদের আর্য সমাজের মধ্যে দুইটি দলে বিভক্ত হয়েছেন। তাদের আর্য সমাজের মধ্যেই ঐক্য নষ্ট হয়েছে। পরস্পরের মধ্যে ভেদবৃদ্ধি সৃষ্টি করিয়া দেশের সর্বনাশ করেছে।  আমরা দুইটি প্রামণ দেখবো।

প্রমাণ নং ১:- উইকিপিডিয়া

পাঠকের বুঝার সুবিধার্থে উপরোক্ত তথ্য থেকেই এই তথ্যটি বড় করো প্রতিস্থাপন করা হয়েছে

 

প্রমাণ নং ২ :- পুস্তক

Imperial Gazetteer of India, v. 20, p. 291.

 

English:- In 1893, the Arya Samaj members of Punjab were divided on the question of vegetarianism. The group that refrained from eating meat were called the “Mahatma” group and the other group, the “Cultured Party”. [10]

বাংলা:- 1893 সালে, পাঞ্জাবের আর্য সমাজের সদস্যরা নিরামিষের প্রশ্নে বিভক্ত¹ হয়েছিল। যে দল মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকত তাদের বলা হত ‘মহাত্মা²’ দল এবং অন্য দলকে ‘কালচারড পার্টি³’ বলা হত। [১০]

 

পর্যবেক্ষণ 1:- আর্যসমাজ প্রতিষ্ঠিত ১০ বছর হতে না হতেই। তাদের আমিষ-নিরামিষ নিয়ে বিভক্ত হয়েছে। এক দল আমিষের পক্ষে ছিলো। আরেকটি দল নিরামিষের পক্ষে ছিলো। এবং তাদের দুইটি দল গঠন হয়েছে। একটি মহাত্মা অপরটি কালচারড।

পর্যবেক্ষণ 2:- “মহাত্মা” এই দলের সদস্যরা নিরামিষ ভোজী ছিলো।

পর্যবেক্ষণ 3:- “কালচারড” এই দলের সদস্যরা মূলত আমিষ ভোজী ছিলো। 

 

সিদ্ধান্ত:- দেখুন দেখুন পাঠক বৃন্দ। স্পষ্ট ভাবেই মূর্তি পূজা না করেও আর্য সমাজের বিভক্ত প্রমাণ করা হলো। আর এইদিকে ইসকন সারাবছর মূর্তি পূজারী হয়েও  তাদের মধ্যে বিভক্ত নেই। তাই দয়ানন্দের মিথ্যা দাবীর খণ্ডন করা হলো।

 

আরো দেখুন

দয়ানন্দস্বামীর ঋষিত্ব খণ্ডন

 

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করা দন্ডনীয় অপরাধ