সুপ্রিয় পাঠকগণ!
কিছুকাল আগে “সনাতন ধর্ম জ্যোতি” থেকে দয়ানন্দস্বামীর ঋষিত্ব খণ্ডন সিরিজ বের হয়। যদিও তিনি ঋষি নন কিন্তু তার অনুসারীরা তাকে মহর্ষি বলে সম্বোধন করে থাকে। ( দয়ানন্দস্বামীর ঋষিত্ব খণ্ডন ) দেখে দয়ানন্দ স্বামীর ঋষি পদবী সুদীপ্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। দয়ানন্দ স্বামীর ঋষিত্ব বাঁচাতে বোধায়ণ গৃহ্যসূত্র সূত্র টেনেছে। অথচ পাখণ্ডী সমাজীরা কল্পকে আদৌ মানে না (অবশ্য এরা কোনো আর্ষ গ্রন্থকেই মানে না), এখন কল্প থেকে একটা বচন তুলে এরা দাবি করছে যে দয়ানন্দ ঋষি ছিলেন, কারণ তিনি চার বেদ পড়েছিলেন।
⚫ আসুন শাস্ত্রপ্রমাণে এই হাস্যকর দাবির সত্যতা বিচার করি। ঐতিহাসিক ভাবে দেখলে কাশী শাস্ত্রার্থে (১৮৬৯) দয়ানন্দ স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে তাঁর বেদ কণ্ঠস্থ ছিল না।
⚫ দয়ানন্দর নিজ বক্তব্য অনুসারে তিনি সামবেদী বংশে জন্মেও যজুর্বেদ পড়েছিলেন।
নিজ বেদ, শাখা না পড়ে অন্য শাখা পড়লে তাকে শাখারণ্ড বলা হয়। এজন্য দয়ানন্দ শাখারণ্ড উপাধিতে ভূষিত হবার যোগ্য।
আরও দেখুন,
⚫ বোধায়ণ গৃহ্যসূত্র ১/৭/ ৮ নং বাক্যের আগের বাক্যগুলোতে সূত্র আদি অঙ্গ সহ বেদের পাঠ করতে বলা হচ্ছে। এগুলো দয়ানন্দ আদৌ গুরুমুখে শ্রবণ পূর্বক অধ্যয়ন করেননি।
শৌনক রায় চৌধুরী
এই লেখার বিরুদ্ধে যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া কলকাতা উচ্চ ন্যায়ালয়ের অধীনে পড়ছে