সংশয়(নাস্তিক পেজের)গীতার স্ববিরোধি কথার খন্ডন

শেয়ার করুন

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ….

সংশয় নামক ব্লগপোস্টে সনাতন ধর্ম নিয়ে প্রচুর বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করা আছে,তার মধ্য গীতার কিছু ব্যাখ্যা বিকৃত তরে গীতাকে স্ববিরোধি, সমালিচিত করার চেষ্ঠা।তাই পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কৃপা নিয়ে আজ আবার ও খন্ডনে চেষ্ঠায় আসলাম-

 

নাস্তিকদের প্রশ্ন: গীতার ৪:৫ তোমার এবং আমার বহু জন্ম হয়েছে, সে সকল আমি জানি কিন্তু তুমি জান না।“আবার (১০র্ম) অধ্যায়ে বিভূতিযোগে বলছেন (১০:৩)/ আমার আদি নাই, জন্ম নাই, বক্তব্যটা স্ববিরোধী হয়ে গেল না? 

 

🚩 আমাদের উওর 

প্রথমে ৪র্থ অধ্যায়ের ৫ নং শ্লোক।                         বহুনি মে ব্যতীতানি জন্মানি তব চার্জুন।                   তান্যহং বেদ সর্বাণি ন ত্বং বেত্থ পরন্তপ।।৪/৫

অনুবাদঃ পরমেশ্বর ভগবান বললেন- হে পরন্তপ অর্জুন! আমার ও তোমার বহু জন্ম অতীত হয়েছে। আমি সেই সমস্ত জন্মের কথা স্মরণ করতে পারি, কিন্তু তুমি পার না।

কিন্তু এটা দিয়ে(১০:০৩)শ্লোক মিলিয়ে দেওয়া,মানে একটা বইয়ের অধ্যায় ১না পরে সোজা ১০এ যাওয়া, তাহলে এর সংশয় তো হবেই। 

 

অজেহপি সন্নব্যয়াত্মা ভূতানীমীম্বরোহপি সন্।           প্রকৃতিং স্বামধিষ্ঠায় সম্ভবাম্যাত্মমায়য়া।।৪/৬

অনুবাদঃ যদিও আমি জন্মরহিত এবং আমার চিন্ময় দেহ অব্যয় এবং যদিও আমি সর্বভূতের ঈশ্বর, তবুও আমার অন্তরঙ্গা শক্তিকে আশ্রয় করে আমি আমার আদি চিন্ময় রূপে যুগে যুগে অবতীর্ণ হই।

তার পরের শ্লোকেই কোট করে রেখেছেন।

এবার ১০:০৩ এই আসি,নাস্তিকদের সেখান হতেই খন্ডন টা দিই-

যো মামজমনাদিং চ বেত্তি লোকমহেশ্বরম্।            অসংমূঢ়ঃ স মর্ত্যেষু সর্বপাপৈঃ প্রমুচ্যতে।।১০/৩।।

অনুবাদঃ যিনি আমাকে জন্মরহিত, অনাদি ও সমস্ত গ্রহলোকের মহেশ্বর বলে জানেন, তিনিই কেবল মানুষদের মধ্যে মোহশূন্য হয়ে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হন।

পর্যবেক্ষণ 1:– এখানে লক্ষ্য করুন,ভগবান বলছেন তিনি অনাদি,সবকিছুর আদি,জন্মরহিত!এই দিকেই নাস্তিক গোষ্ঠী একটু র্ফ্লার্টিং করেছে,সেটা হলো,জন্মরহিত বলতে ঈশ্বর জন্ম নেন না,কিন্তু অবতার নেন!আর জন্ম গ্রহণ করা আর অবতার ধারণ করা আকাশ পাতাল পার্থক্য।

আর যদি বলেন ৪:০৫ এর শ্লোকে জন্ম কেন উল্লেখ করলো? তাহলে উত্তর সোজা, কারণ অর্জুনকে অবতারের কথা বলেছে ৪/৬-৮এর মধ্য, তার আগে অর্জুন ভগবানের সম্পর্কে জ্ঞাত নন। শ্রীকৃষ্ণ যে পরমেশ্বর  ভগবান, তাহলে অর্জুন জন্ম বলবে না তো কি বলবে? তারপর অর্জুন  পাল্টা প্রশ্ন করেছে,তুমি কিভাবে জানো আমি তো জানি না, তারপই ভগবান তার বিভূতি প্রকাশ করেছেন,সুতরাং নাস্তিক গোষ্ঠি এবং বিধর্মীরা একটু ভেবেচিন্তে কথা দাবী করবেন।

 

 

নাস্তিকদের প্রশ্নঃ

গীতার অষ্টাদশ অধ্যায়ে (মোক্ষযোগ, ১৮:৪০)বলেন, এই পৃথিবীতে মানুষের মধ্যে অথবা স্বর্গে দেবতাদের মধ্যে এমন কোন প্রাণির অস্তিত্ব নেই যে প্রকৃতিজাত এই ত্রিগুণ থেকে মুক্ত।

➡️ত্রিগুণ ‍কি? গীতার ভাষ্য মতে সত্ত্ব, রজো, তম,! কিন্তু গীতায় শ্রী কৃষ্ণ (সাংখ্য-যোগ২:৪৫) বলছেন বেদে প্রধানত জড়া প্রকৃতির তিনটি গুণ সম্বন্ধেই আলোচনা করা হয়েছে। হে অর্জুন! তুমি সেই গুণগুলিকে অতিক্রম করে নির্গুণ স্তরে অধিষ্টিত হও। সমস্ত দ্বন্দ্ব থেকে মুক্ত হও। অর্থাৎ ত্রিগুণাতিত হও!কিভাবে সম্ভব?

➡️আবার গীতার সন্নাসযোগের ১৫নং শ্লোকে শ্রী ভগবান বলছেন ভগবান কারো পাপ বা পূন্য গ্রহন করেন না আবার রাজগুহ্য-যোগে বলছেন, আমি সকলের প্রতি সমান ভাব সমভাবাপন্ন ।কেউ আমার বিদ্বেষ ভাবাপন্ন নয় এবং প্রিয়ও নয়। কিন্তু যারা ভক্তিপূর্বক আমাকে ভজন করেন, তারা আমাতে অবস্থান করেন এবং আমিও তাদরে মধ্যে বাস করি।

➡️“অথচ” জ্ঞান-বিজ্ঞানযোগের 15 নং শ্লোকে দেখা যায় ভগবানের ঈশ্বরত্বে, ধর্মমতে অবিশ্বাসী, তাদেরকে তিনি বিবেকশূন্য, নরাধাম, পাপকর্মপরায়ণ, হিসেবে অভিহিত করেছেন! ভগবানের প্রচারিত ধর্মের প্রতি যাদের আস্থা নেই তারা মৃত্যুময় সংসারে বারবার আবর্তিত হয়। দৈবাসুর-সম্পদ বিভাগযোগে ভগবান বলেন(16.18-20) বল, দর্প, অহংকার্ ক্রোধের বশবর্তী হয়ে বিদ্বেষকারীকে আমি অশুভ অসুর যোনিতে অজস্রবার নিক্ষেপ করে থাকি।

➡️ মূঢ়েরা(মূর্খ ব্যাক্তি) জন্মে-জন্মে অসুরযোনি প্রাপ্ত হয় এবং আমাকে না পেয়ে আরো অধমগতি লাভ করে। দেখা যাচ্ছে অন্য ধর্মের ঈশ্বরের মতো শুধুমাএ নিজের ভক্তদের প্রতি দয়াশীল; কিন্তু ‍নিরুশ্বরবাদী, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি ভয়ানক নিষ্টুর! বরং মনে হয় গীতার ভগবান একটু নিষ্টুর এবং বেশি এগ্রেসিভ।

 

🚩 আমাদের উওর 

মোক্ষযোগের শ্লোক:১৮ অধ্যায়ের-                              ন তদস্তি পৃথিব্যাং বা দিবি দেবেষু বা পুনঃ।                 সত্ত্বং প্রকৃতিজৈর্মুক্তং যদেভিঃ স্যাৎ ত্রিভির্গুণৈঃ।।৪০।।

অনুবাদঃ এই পৃথিবীতে মানুষদের মধ্যে অথবা স্বর্গে দেবতাদের মধ্যে এমন কোন প্রাণীর অস্তিত্ব নেই, যে প্রকৃতিজাত এই ত্রিগুণ থেকে মুক্ত।

সত্ত্ব (ভালোভাব, প্রশান্তি, সুরেলা), রজস (আবেগ, কার্যকলাপ, চলাফেরা), এবং তমস (অজ্ঞতা, জড়তা, অলসতা)।এবং এর থেকে দেবতাদের ও মুক্তি নেই।

হ্যাঁ,নাস্তিক গোষ্ঠীরা একটু র্ফাল্ট খেয়ে গিয়েছে,কারন এখানে অর্জুনকে সমস্ত গুন হতে মুক্ত হতে বলেছে,অর্থাৎ এক কথায় যোগী পুরুষ হতে বলেছে

 

আবার (অধ্যায় ৬, শ্লোক ৪৬)

তপস্বিভ্যোহধিকো যোগী জ্ঞানিভ্যোহপি মতোহধিকঃ। কর্মিভ্যশ্চাধিকো যোগী তস্মাদযোগী ভবার্জুঞন।।৪৬।।

অনুবাদঃ যোগী তপস্বীদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, জ্ঞানীদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ এবং সকাম কর্মীদের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। অতএব, হে অর্জুন! সর্ব অবস্থাতেই তুমি যোগী হও।

তাই এখানে যোগী যেহেতু তিনটি গুনকেই অতিক্রম করতে পারেন তাই এখানে যোগী হতেই ভগবান বলছেন,যার দরুন,পরমেশ্বর ভগবান গীতায় অর্জুনকে সকল যোগই বুঝিয়েছেন-

 

১/সংখ্যা যোগ

২/কর্ম যোগ

৩/জ্ঞানযোগ

৪/কর্ম সন্ন্যাস যোগ

৫/ধ্যানযোগ

৬/বিজ্ঞান যোগ

৭/অক্ষর ব্রহ্ম যোগ

৯/রাজগুহ্য যোগ

১০/বিভূতি যোগ

১১/বিশ্বরূপ দর্শন যোগ

১২/ভক্তিযোগ

ইত্যাদি ইত্যাদি।

এইসব যোগে তার সম্বন্ধে তার গুননুযায়ী প্রত্যেক কথাই ভগবান বলেছেন,তাই এইযোগ হতে অন্যযোগে কথা মিলিয়ে গীতার মতো পবিত্র গ্রন্থকে অবমাননা করাই সত্যিই মূর্খের কাজ।

 

গীতার ১৫নং শ্লোককে কোট করে:

নাদত্তে কস্যচিৎ পাপং ন চৈব সুকৃতং বিভুঃ। অজ্ঞানেনাবৃতং জ্ঞানং তেন মুহ্যন্তি জন্তবঃ।।১৫।।

অনুবাদঃ পরমেশ্বর ভগবান জীবের পাপ অথবা পুণ্য কিছুই গ্রহণ করেন না। অজ্ঞানের দ্বারা প্রকৃত জ্ঞান আবৃত হওয়ার ফলে জীবসমূহ মোহাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।

 

এখানে ভগবান পাপ পূন্য কেন গ্রহন করবেন?আপনার পাপ আমি কেন নিবো?আর সহজ যুক্তি ভগবান পাপ পূণ্য গ্রহন করলে তিনি পাপী বা পূর্নাথ্যাী হবেন,বিষয় টা এমন না, হাস্যকর

 

সমোহহং সর্বভূতেষু ন মে দ্বেষ্যোহস্তি ন প্রিয়ঃ।             যে ভজন্তি তু মাং ভক্ত্যা ময়ি তে তেষু চাপ্যহম্।।২৯।।

অনুবাদঃ আমি সকলের প্রতি সমভাবাপন্ন। কেউই আমার বিদ্বেষ ভাবাপন্ন নয় এবং প্রিয়ও নয়। কিন্তু যাঁরা ভক্তি- পূর্বক আমাকে ভজনা করেন, তাঁরা আমাতে অবস্থান করেন এবং আমিও তাঁদের মধ্যে বাস করি।

 

অপি চেৎ সুদুরাচারো ভজতে মামনন্যভাক্।            সাধুরেব স মন্তব্যঃ সম্যগ্ ব্যবসিতো হি সঃ।।৩০।।

অনুবাদঃ অতি দুরাচারী ব্যক্তিও যদি অনন্য ভক্তি সহকারে আমাকে ভজনা করেন, তাকে সাধু বলে মনে করবে, কারণ তাঁর দৃঢ় সংকল্পে তিনি যথার্থ মার্গে অবস্থিত।

 

ক্ষিপ্রং ভবতি ধর্মাত্মা শশ্বচ্ছান্তিং নিগচ্ছতি।            কৌন্তেয় প্রতিজানীহি ন মে ভক্তঃ প্রণশ্যতি।।৩১।।

অনুবাদঃ তিনি শীঘ্রই ধর্মাত্মায় পরিণত হন এবং নিত্য শান্তি লাভ করেন। হে কৌন্তেয়! তুমি দীপ্ত কন্ঠে ঘোষণা কর যে, আমার ভক্ত কখনও বিনষ্ট হন না।

এখানে ভগবান নিজেই বোনাস দিচ্ছেন, যদি কোনো দূরাচারী ব্যাক্তি একটুও তার প্রতি ধর্মাচারন৷ করলে তিনি তার প্রতি আনুগত্য হোন।

 

গীতার ৭-১৫ শ্লোক নিয়ে নাস্তিকদের ভয়!

ন মাং দুষ্কৃতিনো মূঢ়াঃ প্রপদ্যন্তে নরাধমাঃ।মায়য়াপহৃতজ্ঞানা আসুরং ভাবমাশ্রিতাঃ।।১৫।।

অনুবাদঃ মূঢ়, নরাধম, মায়ার দ্বারা যাদের জ্ঞান অপহৃত হয়েছে এবং যারা আসুরিক ভাবসম্পন্ন, সেই সমস্ত দুস্কৃতকারীরা কখনও আমার শরণাগত হয় না।

এখানে ভগবান বলছেন যে মূঢ়,নরাধম(নরদের মধ্য অধম)মায়ার দ্বারা যদের জ্ঞান বন্ধিত,তারা কখনো তার আশ্রয় নেই না।তার শরনাগত হয় না।

 

১৬:১৮-২০ শ্লোকের ভগবান যা বলেছন তা সবই ঠিক,তারপর দেখা যাচ্ছে অন্য ধর্মের ঈশ্বরের মতো শুধুমাএ নিজের ভক্তদের প্রতি দয়াশীল; কিন্তু ‍নিরুশ্বরবাদী, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি ভয়ানক নিষ্টুর! বরং মনে হয় গীতার ভগবান একটু নিষ্টুর এবং বেশি এগ্রেসিভ।হাস্যকর যুক্তি। প্রথমেই বলি, ঈশ্বর কেন নাস্তিকদের প্রতি সহায় হবেন,যারা তার অস্তিত্ব স্বিকার করেনা,যারা তার শরনাগত না,মানে এই যে অন্য দেশে গিয়ে নিজের দেশ মনে করে স্বাধীনতা অর্জন করা!বিষয়টা এমন দাঁড়ায় না।কারন আপনি অন্য ধর্মের ঈশ্বরের সাথে কৃষ্ণকে তুলনা করেছেন,তাহলে কিভাবে সম্ভব,গীতার অনেক কোটিং এ ভগবান সকলের প্রতি সমভাবপন্ন,তা নিজেই বলেছেন,কিন্তু যারা আশ্রয় নেন না,তাদের প্রতি ভগবান রুদ্ররূপি। কিন্তু নাস্তিক গোষ্ঠী বিষয় আরেকটা বুঝেছে।

 

  • দেখুন সম্পূর্ন প্রেক্ষাপট:

 

ইদমদ্য ময়া লদ্ধমিমং প্রাপ্স্যে মনোরথম্।         ইদমন্তীদমপি মে ভবিষ্যতি পুনর্ধনম্।।১৩।।            অসৌ ময়া হতঃ শত্রুর্হনিষ্যে চাপরানপি।          ঈশ্বরোহহমহং ভোগী সিদ্ধোহহং বলবান্ সুখী।।১৪।।অঢ্যোহভিজনবানস্মি কোহন্যোহস্তি সদৃশো ময়া।        যক্ষ্যে দাস্যামি মোদিষ্য ইত্যজ্ঞানবিমোহিতাঃ।।১৫।।অনেকচিত্তবিভ্রান্তা মোহজালসমাবৃতাঃ।                 প্রসক্তাঃ কামভোগেষু পতন্তি নরকেহশুচৌ।।১৬।।

অনুবাদঃ অসুরস্বভাব ব্যক্তিরা মনে করে- “আজ আমার দ্বারা এত লাভ হয়েছে এবং আমার পরিকল্পনা অনুসারে আরও লাভ হবে। এখন আমার এত ধন আছে এবং ভবিষ্যতে আরও ধন লাভ হবে। ঐ শত্রু আমার দ্বারা নিহত হয়েছে এবং অন্যান্য শত্রুদেরও আমি হত্যা করব। আমিই ঈশ্বর, আমি ভোক্তা। আমিই সিদ্ধ, বলবান ও সুখী। আমি সবচেয়ে ধনবান এবং অভিজাত আত্মীয়স্বজন পরিবৃত। আমার মতো আর কেউ নেই। আমি যজ্ঞ অনুষ্ঠান করব, দান করব এবং আনন্দ করব।” এভাবেই অসুরস্বভাব ব্যক্তিরা অজ্ঞানের দ্বারা বিমোহিত হয়। নানা প্রকার দুশ্চিন্তায় বিভ্রান্ত হয়ে এবং মোহজালে বিজড়িত হয়ে কামভোগে আসক্তচিত্ত সেই ব্যক্তিরা অশুচি নরকে পতিত হয়।

 

আত্মসম্ভাবিতাঃ স্তব্ধা ধনমানমদান্বিতাঃ।                  যজন্তে নামযজ্ঞৈস্তে দম্ভেনাবিধিপূর্বকম্।।১৭।।

অনুবদাঃ সেই আত্মভিমানী, অনম্র এবং ধন ও মানে মদান্বিত ব্যক্তিরা অবিধিপূর্বক দম্ভ সহকারে নামমাত্র যজ্ঞের অনুষ্ঠান করে।

 

অহঙ্কারং বলং দর্পং কামং ক্রোধং চ সংশ্রিতাঃ।মামাত্মপরদেহেষু প্রদ্বিষন্তোহভ্যসূয়কাঃ।।১৮।।

অনুবাদঃ অহঙ্কার, বল, দর্প, কাম ও ক্রোধকে আশ্রয় করে অসুরেরা স্বীয় দেহে ও পরদেহে অবস্থিত পরমেশ্বর স্বরূপ আমাকে দ্বেষ করে এবং সাধুদের গুণেতে দোষারোপ করে।

 

তানহং দ্বিষতঃ ক্রুরান্ সংসারেষু নরাধমান্।ক্ষিপাম্যজস্রমশুভানাসুরীষ্বেব যোনিষু।।১৯।।

অনুবাদঃ সেই বিদ্বেষী, ক্রুর ও নরাধমদের আমি এই সংসারেই অশুভ আসুরী যোনিতে অবিরত নিক্ষেপ করি।

 

আসুরীং যোনিমাপন্না মূঢ়া জন্মনি জন্মনি।          মামপ্রাপ্যৈব কৌন্তেয় ততো যান্ত্যধমাং গতিম্।।২০।।

অনুবাদঃ হে কৌন্তেয়! জন্মে জন্মে অসুরযোনি প্রাপ্ত হয়ে, সেই মূঢ় ব্যক্তিরা আমাকে লাভ করতে অক্ষম হয়ে তার থেকেও অধম গতি প্রাপ্ত হয়।

 

এখানে বির্ধমী কই বলেছে,বা নাস্তিক কে বলেছে কই!এখানে তো স্পষ্ঠ অসুরভাব ব্যাক্তিদের কথা বলছেন!অসুরভাব কি?যাদের ভাবনা আসুরিক,এবং তারা যে দুষ্কর্ম করেন,তার দ্বেষে ভগবান সেই ব্যাক্তিবর্গদের বারবার এমন কার্য করেন,এখন বলুন,আপনি সবাইকে সম্মান করেন,ভালোবাসেন কিন্তু একজন পকেটমার আপনার থেকে চুরি করলে বা একজন ডাকাত আপনার ঘড়ে হানা দিলে তাকে ধরে আপনি পুলিশে দিবেন। তাহলে আপনি কেন বললেন আপনি সকলকে ভালোবাসেন,সবাইকে সম্মান করেন,তাহলে ডাকাত আর পকেটমারের দোষ কি?

 

সুতরাং, এই সব বিকৃতি করে গীতার মতো শ্বাশত্ব গ্রন্থের ভুল বের করার জন্য সংশয় নামক ব্লগপোস্টের জন্মের সংশয় আছে,তা বোঝা হয়েই যাচ্ছে।তাই উক্ত ব্লগপোস্ট পড়ে কেউ বিভ্রান্তিতে পড়বেন না,এই অনুরোধ।

 

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করা দন্ডনীয় অপরাধ